যশোরে প্রতারণার অভিযোগে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রসেস সার্ভেয়ার সেলিম হোসেনসহ দুই জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সদর উপজেলার রূপদিয়া গ্রামের মোকলেছুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
সেলিম হোসেন যশোর সদর উপজেলার সিরাজসিঙ্গা গ্রামের মৃত নওশের আলীর ছেলে ও অপর অভিযুক্ত শহতরতলীর মুড়লির মহসিন স্কুল এলাকার হাফিজা বেগম ।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, মোকলেসুর রহমান রূপদিয়া বাজারে তার মায়ের নামে একটি দাতব্য হোমিও চিকিৎসা কেন্দ্র পরিচালনা করেন। এ কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসেন হাফিজা বেগম। দুই বছর আগে হাফেজা তাকে জানান, তার আত্মীয় সেলিম হোসেনের মণিরামপুর কুয়াদা বাজারে একটি কফিশপ আছে। কিন্তু তিনি যশোর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চাকরি করায় তার পক্ষে কফিশপ চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই কফিশপটি তাকে লিজ নেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়। মোকলেসুর আসামিদের প্রস্তাবে রাজি হয়ে বার্ষিক ছয় লাখ টাকা চুক্তিতে ২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ছয় লাখ টাকা প্রদান করেন। এরপর আসামিরা তাকে একটি চুক্তিনামা তৈরি করে দেয়। দুইদিন পর আসামি সেলিম লিজ চুক্তিনামা ভুল হয়েছে বলে নিয়ে ছিড়ে ফেলেন এবং দ্রুত নতুন চুক্তিনামা করে দেয়ার আশ্বাস দেন। এরপর আসামি সেলিম ছয় লাখ টাকা গ্রহণ করে কফিশপ হস্তান্তর ও নতুন চুক্তিনামা করে না দিয়ে ঘোরাতে থাকে। এক বছর পর গত ৭ ফেব্রুয়ারি আসামি সেলিমের কাছে তিনি ছয় লাখ টাকা ফেরত চাইলে দিতে অস্বীকার করেন। এ টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে বুধবার তিনি আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম